রাজারহাটে এক অন্ধপ্রতিবন্ধীর জমি ভূয়া দলিল করে দখল করার অভিযোগ
এ.এস.লিমন,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কৌশলে এক অন্ধ প্রতিবন্ধীর জমি ভূয়া দলিল বানিয়ে দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সফিজার রহমান এর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউপির দেবালয় (দক্ষনিপাড়া) এলাকার অন্ধ প্রতিবন্ধী দুলিমা বেগম (৭৫) এর ২৮ শতাংশ জমি তার ছোট ভাই প্রতারক সফিজার রহমান (৮০) কৌশল করে (দানপত্র) ভূয়া দলিল বানিয়ে জমি দখল করে নেয়। যাহার দলিল নং -১২। তাং ১৩-০১-১৯ইং। অপরদিকে অন্ধ দলিমা বেগম নিসন্তান হওয়ায় এবং প্রকৃত ওয়ারিশ তার স্বামী ও তার বড় ভাই আজিজার রহমান ভূয়া দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় শনাক্ত সাক্ষী না হওয়ায় ওই দানপত্র দলিলটি অবৈধ বলে গণ্য হয়। পরে সফিজার রহমান দানপত্র ভূয়া দলিল সূত্রে তড়িঘড়ি করে তার ছেলে মোঃ সাজু মিয়া (৩৫) কে দানপত্র করে দেয়। যাহার দলিল নং ১২৫। তাং-১৪-০১-১৯ইং। পরে তারা জমি দখল করে দলিমা বেগমের বাড়িঘর ভাংচুর করে তাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দেয় এবং তাদের নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে তালা দিয়ে রেখে দেয় অন্ধ দলিমাকে। সেখানে দুলিমা অবহেলা অযত্নে অনাহারে অতিকষ্টে জিবন-যাপন করে আসছে।
এ ঘটনায় দুলিমার বড় ভাই মোঃ আজিজার রহমান প্রতিবাদ করলে তাদের নামে সফিজার রহমান বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং তাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
দুলিমা বেগমের বড় ভাই মোঃ আজিজার রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বোন দুলিমা অন্ধ প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার প্রকৃত ওয়ারিশ আমি এবং তার স্বামী ইদ্রিস আলী তিনি আমাদেরকে না জানিয়ে জাল ওয়ারিশসনদ, প্রত্যায়নপত্র জাল করে প্রতারক সফিজার রহমান অন্ধ দুলিমাকে প্রতারণা করে মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে গোপনে একটি দানপত্র জাল দলিল বানিয়ে জমি দখল করে দুলিমাকে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতন করে আসছে।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন আজিজার ও সফিজার তারা দুই ভাই। তারা দুই ভাই যদি দুলিমার মোট ২৮ শতাংশ জমি সমান করে কিনে নিত তাহলে খুব ভালো হত। কিন্তু জমি লোভী সফিজার অন্ধ প্রতিবন্ধী বোনের সম্পত্তি এভাবে প্রতারণা করে নিবে এটা ভাবতে আমাদের ঘৃনা হয়।
এ ব্যাপরে প্রতারক সফিজার রহমান বলেন- আমার বোন দুলিমা ২৮ শতাংশ জমি আমাকে দানপত্র করে দেয়। এছাড়া দুলিমার প্রকৃত ওয়ারিশ বলতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলার দলিল লেখক রেজাউল কবীর রানা বলেন,আমি প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র নিয়ে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেছি। যারা সনাক্ত সাক্ষী হয়েছে তারা দুলিমার প্রকৃত ওয়ারিশ এ কথা সফিজার রহমান আমাকে বলছিল। কিন্তু ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যায়নপত্রটি জাল ছিল তা আমার জানা ছিল না।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না