মধুখালীতে শেষ সময়ে ব্যস্ত কামারীরা
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃআর তিন দিন পরে ঈদ উল আযহা। আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানো ঠুং ঠাং শব্দে দিন ও রাত সমান ব্যস্ততায় সময় পার করছেন মধুখালীর কামার শিল্পীরা। অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বাড়তি রোজগারের আশায় ক্লান্তি ভুলে ব্যস্ত কামারীরা।
লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, চাকু, ছুড়ির দাম এবার বেড়েছে বলে জানিয়েছে মধুখালী বাজারের কামার শিল্পী রাজকুমার। তিনি জানান এবার ক্রেতাদের ভিড় কম। আমার সহকারী হিসেবে ৪ জন কাজ করছেন। তাদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরনো দা-বটিতে শান দিতে। এ বছর আমি নতুন কাজের অর্ডার নেয়া বন্ধ করিনি। গতবছর এসময় অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অনেকে মৈৗসুমী ব্যবসার জন্য পশুর মাংস কেটে দিয়ে বাড়তি রোজগার করতে নতুন দা-বটিও বানাচ্ছেন। তবে প্রতিবারের তুলনায় এ বছর আমাদের কাজের চাপ অনেক কম । তবে ঈদের দিন সারা রাত কাজ করা লাগে।
এদিকে মধুখালী বাজার, শ্রীপুর কামারপাড়া, কামারখালী, মেগচামী, নওপাড়া, বাগাট সহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছেন কামাররা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কারনে কামারপট্টির কামারদের এখন কাজ বেশি। পুরনো দুটি চাপাতি, একটি চাকু , একটি বটি ও ছুরিতে শান দেয়ার জন্য নিচ্ছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্য সময় মজুরি ছিল ২০০ টাকা। আর নতুন একটি বটি ৫০০ ও কুড়াল ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না