কৃষকের মাথায় হাত রোদে পুরে শেষ হয়ে যাচ্ছে রবি ফসল৷
মোঃ সুজন মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিনিধি,রাঙ্গাবালী,পটুয়াখালী৷
প্রচন্ড খরা ও তাপদাহে অতিষ্ট রাঙ্গাবালীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ। কৃষকের মাথায় হাত, রোদে পুরে শেষ হয়ে যাচ্ছে রবি ফসল। কয়েক দিন এভাবে চললে কোন ফসলই ঘরে তুলতে পারবেনা কৃষকরা। এছাড়াও তাপদাহে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোয় প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বৃষ্টি চেয়ে বিভিন্ন এলাকায় দোয়া অনুষ্ঠান করার কথাও শোনা গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে রবি ফসল থেকে বঞ্চিত হবে এলাকার কৃষক।
প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে কম বেশি বৃষ্টি হয় উপকুলীয় এলাকায়। এমন কি অতি বৃষ্টিতে তরমুজ, ডাল মরিচের ক্ষতিও হয় ব্যাপক। গ্রামে একটা প্রবাদ আছে। মুরুব্বীরা বলতেন, “যদি হয় পৌষে, কড়ি হয় তুষে” যদি হয় মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুন্য দেশ। সে প্রবাদ এখন আর নেই। ঢাকা পরেছে চলতি মৌসুমে। পৌষেও হয়নি, মাঘেও না। চৈত্র চলে গেছে দেখা নেই বৃষ্টির। রোদে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে ডাল, মরিচ চিনাবাদামসহ যাবতীয় রবি ফসলের ক্ষেত। এছাড়া আউসেরও ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবছর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৪০০-৬০০ হেক্টর জমিতে আউস ধান চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে আউসের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান। তবে তিনি প্রতি নিয়ত চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন বলে চাষীরা জানিয়েছেন। দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে বলে কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে। প্রচন্ড এ তাপদাহে সর্দি কাশি ও এলার্জির প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন এসব সমস্যা নিয়ে রোগীরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন বলে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম ও মোঃ আল আমিন জানান।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো: আলী আকবর, মো: রাসেল মাহমুদ, মো: বাবুল হাওলাদার রাঙ্গাবালীর মো: ফারুক হোসেন, মো: মিলন হাওলাদার সহ অনেকে বলেন, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে সব গাছ পুরে গেছে। দু একদিনে বৃষ্টি হলে কিছুটা ফসল পাওয়া যেত। আর যদি না হয়, রবি ফসল থেকে বঞ্চিত হবে রাংগাবালীবাসী।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না