পটুয়াখালী রাঙ্গাবালীতে এলজিইডির সব কাজেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি৷
রাঙ্গাবালী পটুুয়াখালী৷
পটুুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও স্কুলের ভবন নির্মাণে এসব অনিয়ম হচ্ছে। ফলে ভাল মানের কাজ না হওয়ায় কিছুদিন পরপর সংস্কার করতে হচ্ছে।
দেখাযায় যে,রাঙ্গাবালী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী তার ভাই নেছার উদ্দিনকে ব্যাবহার করে নিজেই কাজ করে থাকেন।আর বিল নিজেই তুলে নেন।রাঙ্গাবালী উপজেলায় পানি অপসারণের জন্য ড্রেন নির্মান বাবদ বরাদ্দ টাকা ৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৬ শত ২৯ টাকা।রাঙ্গাবালী ইউনিয়ানের নেতার স্লুইজঘাট জামে মসজিদ মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা।বড়বাইশদিয়া গাববুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফার্নিচার বাবদ বরাদ্দ ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।বড়বাইশদিয়া এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফার্নিচার বাবদ বরাদ্দ ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এই বিল কাজ শুরু হওয়ার আগেই রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান তুলে নেন।পরে কিছু কাজ করেই মোটা আংকের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।
বাহেরচর পল্লী বিদুৎ আফিস হইতে আওয়ামীলীগ আফিস পযন্ত এডিপির বরাদ্দকৃত রাস্তার কোন কাজই হয় নাই।
crrip প্রকল্পের লেআউট Lcs টিম দিয়ে করানো কথা কাজ হয় ভেকু দিয়ে।রাঙ্গাবালী উপজেলায় Lcs কোন টিমই নাই।ভূয়া ব্যাংক একাউন্ট করে বিল তোলা হয়।ব্যাংকের চেকেও জাল স্বাক্ষর করে টাকা তোলা হয়।
এছাড়া প্রতিটা কার্পেটিং রাস্তার লেভেল আনেক নিচু ও Bottom with কম।কোন রাস্তাই Top, with ও Bottom ঠিক নাই।এই কাজের প্রতিটা ঠিকাদারের কাছ থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী নিজের জন্য ২% ও অডিট বাবদ ১% নিয়ে থাকেন। স্কুলের বিলে ১.৫%-২% এবং অফিস বিলে ১% নিচ্ছেন।এই টাকা না দিলে তিনি বিলে স্বাক্ষর করেন না।
মাটির কাজের প্রতিটা রাস্তায় ঘাঁস লাগানের কথা কিন্তু কোথাও ঘাঁস লাগানো হয় না।
Lcs টিমের কাজের ঠিকাদার Nid card সংগ্রহ করে ব্যাংকের সাথে হাতহাত করে ভুয়া একাউন্ট করে জাল স্বাক্ষর করে বিল তুলে নেয়।আর এ কাজে সহযোগীতা করেন রাঙ্গাবালী ডনিডা প্রকল্পের জুনিয়ার ফিল্ড ইনজিনিয়ার এনামুল হক।
Crrip এর মাটির কাজের post work ও Pre work পযন্ত মাটি ধরে দেয়া হয় যা আর কাটা হয় না। টাকা দিলেই সব পাশ।
PD ফোর এর বাউন্ডারি ওয়াল চালিতবুনিয়া,চর লক্ষ্মী, পশ্চিম মৌডুবী ও টুঙ্গিবাড়িয়া এই চারটি কাজ মানিবুর রহমানকে নিম্ন দরদাতা বানিয়ে কাজ পাইয়ে দিয়ে সেখান থেকে এনে তার ভাইকে দিয়ে করাবেন।যার আনুমানিক মূল্য ৭৮ লক্ষ টাকা।কাজ শুরুই করেন নাই।কিন্তু এই টাকা রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী কাজ না করে তার ভাই নেছার উদ্দিনের নামে বিল তুলে নিয়ে গেছেন।
HBB কোন রাস্তা লেয়ার অনুযায়ী বালু নাই। প্রতিটা রাস্তা নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মান করা হয়েছে।
ADP এর দুটি প্যাকজ RFQ কাজ প্রকৌশলী তার আপন ভাই নেছার উদ্দিনের নামে কার্যাদেশ দিয়েছেন।যার অনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।তিনি নিজ জেলায় চাকুরী করে চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতি আর আপকর্ম।
রাঙ্গাবালী উপজেলার খালঘোড়া বাজার হইতে সেনের হাওলা পর্যন্ত এলজিইডির আওতায় বরগুনা প্রজেক্ট এর রাস্তার অবস্থা খুই খারাপ রাস্তা কাজ করা শেষ না হতেই পিচ উঠে যাচ্ছে।মাঝ খানে গাইড ওয়াল দেয়া হয়েছে। সেখানে গাইড ওয়াল নিচু করে দেয়ার কারনে রাস্তা সহ পিচ ভেঙ্গে পরছে।
গহিন খালি একটা গাইল ওয়াল এর কাজ চলছে।সে যে বরাদ্দ তা দিয়ে খুব ভাল ভাবে কাজ করা সম্ভব। এখন যে কাজ চলছে তা না করাই ভাল।এ কাজ করে কোন লাভ নাই।ছয় মাস ও ধরে রাখা সম্ভাব না।এ কাজ রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী তার আপন ভাইকে দিয়ে করাচ্ছেন।কোন রকম করতে পারলেই টাকা।
এ বিষয় রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিবো না।আমি কোন কিছু জানি না।আমি রাজনৈতিক নেতা না।এসব বাদ দেন,এগুলো করে আপনার কি লাভ।এর চেয়ে ভাল কিছু করেন। আর এখন জুন ক্লোজিং চলে আমার হতে সময় নাই।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: