দ্বাদশের ছাত্র দ্বারা সপ্তম শ্রেনির স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত
আব্দুর রাজ্জাক রাজ,(ফুলবাড়ী) কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র দ্বারা ধর্ষণের স্বীকার
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আব্দুর রহমান পরিবারের ভরন-পোষনের জন্য ইট ভাটায় দীর্ঘদিন কাজ করার দরুণ বাড়ীতে থাকেন না। তার স্ত্রী চায়না বেগম নিজ বসত ঘরের এক পাশে মুদি দোকান দিয়ে দোকান পরিচালনা করেন। গত মঙ্গলবার চায়না বেগম দোকান বন্ধ রেখে স্বামীর নিকটে দেখা করতে যান। কাজ শেষে সেখান থেকে ফিরতে গভীর রাত হয়ে যায়। বাড়ীতে তার মেয়ে উপজেলার গংগারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী রহিমা খাতুন (১৪) একাকী ছিলেন।
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার সুবাদে একই গ্রামের আবু তালেব শেখের ছেলে কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবুল হাসেম (২২) রাত এগারো টার দিকে দোকানে সিগারেট নেয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করে। সিগারেট দেয়ার জন্য দরজা খোলামাত্র হাসেম ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর চায়না বেগম বাড়ীতে ফিরে দরজা খোলার জন্য মেয়েকে ডাকলে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। পরে চায়না বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে বেঁধে রাখে।
এ ঘটনার পর আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা বুধবার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়। পরে বাড়ীতে এসে আব্দুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্যের আবেদন করেন। ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে বুধবার রাত দশটার দিকে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভিকটিমের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে রাতেই ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মামলা কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি পুলিশ।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: