মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি কার্যালয়ের অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ৷

২ মার্চ ২০২৪, ৪:১৩:৪৭

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী

গ্রামীণ আবহাওয়া আর টাটকা ফল-সবজির জুড়ি নেই বাগানের। তাইতো উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারির মধ্যে বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিত্যক্ত ও পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও সূর্যমুখীর চাষ করেছেন তিনি।

বাগান করে ইউএনও যেমন মনে আনন্দ পাচ্ছেন তেমনি বিশুদ্ধ শাক-সবজি ও ফল পাচ্ছেন। বাগানে এমন কিছু সবজি গাছ আছে যেগুলোতে সারা বছরই সবজি ধরে। ফলে পরিষদের আঙ্গিনায় চাষ করা বিষমুক্ত সবজি দিয়ে অতিথি আপ্যায়নও করছেন।

অফিসের কাজের ফাঁকে সময় বের করে ইউএনও নিজেই সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিলো এক ইঞ্চি জমিও খালি বা অনাবাদি রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার পরিষদের বাউন্ডারির ভিতরে পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষের এ উদ্যোগ নেন।
শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, চারদিকে ইটে ঘেরা বাসভবনের পরিত্যক্ত ও পতিত জমিতে
শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী, শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, চিচিংগা, লাল শাক, পুঁই শাক ও ডাটা শাকসহ নানা জাতের সবজি। ইউএনওর বাসভবনসহ পরিষদ চত্বরের অন্তত ১০টি স্থানে রয়েছে এমন হরেকরকম সবজি বাগান।
চাষ করা হয়েছে। এসব সবজি চাষে ব্যবহার করা হয়নি কোন ধরনের কীটনাশক। শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান উপজেলায় কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা, সুশীল ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সবুজ মানেই সতেজতা। সবুজ মানেই প্রশান্তি। সুন্দর এই গ্রামে সবুজের উপস্থিতি যেন অনেকখানি প্রশান্তি আরো বাড়িয়ে দেয়। ছাত্রজীবন থেকেই কৃষির প্রতি ভালোবাসার টানে বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়েছি। রাঙ্গাবালীতে যোগদানের পর থেকে চেস্টা করি বাগান তৈরি করার।
তিনি সবাইকে সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিকতা চর্চার আহ্বান জানান।
##

দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

পাঠকের মন্তব্য: