ঝিনাইদহের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে মিনা স্মৃতি ক্রিকেট একাডেমি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলোয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে দেখে মোঃ সৈকত হোসেন, বেড়ে উঠেছেন, ২৯ বছর বয়সী এই যুবক জন্মগ্রহণ করেন ১৪ নং ঘোড়শাল ইউনিয়নের ঘোড়শাল গ্রামে দরিদ্র এক কৃষক পরিবারে। এলাকায় তাকে ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা বলে সবাই চিনে। এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী ক্রিকেটারের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে সৃষ্টি করেছেন, মিনা স্মৃতি ক্রিকেটে একাডেমি। ক্রিকেটের স্বার্থকে বড় করে দেখে পরিবারের অভাব অনটন কে পিছনে ফেলে কাজ করে যাচ্ছেন রাত দিন এই যুবক। মোঃ সৈকত হোসেন কোচ নামটি এলাকায় খুবই পরিচিত একটি নাম । মেধা ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ সাবেক খেলোয়ার ডান হাঁটুর ইনজুরির কারণে খেলোয়ার হিসেবে বেশিদূর যেতে পারিনি তবে খেলোয়ার হিসেবে নয় কোচ হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এই যুবক দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক বড় বড় টিমের এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল
সাবেক অনুদ্ধ-১৪ ঝিনাইদহ জেলা দলের কোচ।
ওয়্যারিয়রস অব বাংলাদেশ টিমের কোচ।
পিকেসিএসবিডির সিলেক্টর।
মিনা স্মৃতি ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক ও হেড কোচ।সার্টিফিাইড কোচ,বিকেএসপি।ব্যাচ এর সার্টিফাইড কোচ। টেলেন্ট টেন ক্রিকেট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কোচ। এত অর্জনের পরেও তাকে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে, পাইনি ক্রীড়াঙ্গনের কোন সহযোগিতা, সরকারি কোন অনুদানের সুযোগ সুবিধা। নিজের বাবার জমি বিক্রয় করে, নিজে পরিশ্রম করে যা আয় করেছেন তাই ব্যয় করেছে এই ক্রিকেট অঙ্গনে স্বপ্ন ঝিনেদার ক্রিকেটকে সারা বিশ্বের বুকে সুনাম কুড়াবে তারে ধারাবাহিকতায়, দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মিনা স্মৃতি ক্রিকেট একাডেমীকে নিয়ে, এই একাডেমির শিক্ষার্থীরা বিকেএসপি সহ বিভিন্ন বড় বড় একাডেমিতে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছে,
জনাব সৈকত হোসেন এর কাছে সাংবাদিকরা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান ছোটবেলার স্বপ্ন সারথির গল্প তিনি ক্রিকেট খেলোয়ার হওয়ার খুব স্বপ্ন ছিল কিন্তু আর্থিক অনটন ও পায়ের ইনজুরির জন্য সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার। তবে আমি হাল ছেড়ে দিইনি, হইতে পারিনি খেলোয়াড়। তবে কোচ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি, বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমার একাডেমি ঝিনাইদহ জেলার ভিতরে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে অনেক তরুণ-তরুণীরা নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছে আগামী উজ্জল দিনের জন্য। আশা করি আমার স্বপ্ন আমার স্টুডেন্ট এর ভিতর দিয়েই পূরণ হবে, বলে আমি বিশ্বাস করি, তবে এলাকার সুশীল সমাজ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি আমার একাডেমীর দিকে সু দৃষ্টি দেয় এবং সরকার থেকে যদি আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে তাহলে ক্লাবটি কে সামনের দিনে অনেক ভালো জায়গায় দাঁড় করানো সম্ভব হলে মনে করি। তবে এদেরকে নিয়ে আমার অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে । ঝিনাইদহ ক্রিকেট খেলোয়াররা বাংলাদেশ টিমের হয়ে সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে। তাই আসুন আমার সাথে ঝিনেদার ক্রিকেট উন্নয়ন করি, তরুণ প্রতিভাবানদের পাশে দাঁড়াই।এবং সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে দিয়ে ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নয়নের স্বপ্ন সারথি হিসেবে সকলেই সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিলে একাডেমিটি আরো সুন্দর হবে বলে আমি বিশ্বাস রাখি। খেলাধুলা কে আঁকড়ে ধরি, মাদককে না বলি, এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উপকার হিসেবে তিনি যেন আমার এই একাডেমির প্রতি একটু সদাই অনুগ্রহ প্রদান করে সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে আমি সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে খেলাধুলার মানকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: