ঝিনাইদহে এক কৃষকের শেষ সম্বল তিনটি গরুই রাতের আঁধারে চুরি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খড়িখালি গ্রামে মোহাম্মদ ইসরাইল হোসেন (৫২)এর বাড়িতে তালা ভেঙ্গে রাতের আঁধারে একদল চোরেরা খেটে খাওয়া দিনমজুর কৃষক তার শেষ সম্বল তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তার বসতবাড়িতে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে গত ০২/১০/২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২.০০ ঘটিকার সময় থানায় অভিযোগ সূত্র মতে, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে, তার যে তিনটি ফ্রিজিয়ান গাভী গরু ছিল। দুটি লাল রঙের এবং একটি কালো রঙে গরু। গরুর খাবার দিয়ে তিনি রাতের নিদ্রায় যান, এবং দুইটার সময় রাতের ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখে তার গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা মাটিতে পড়ে আছে, এবং গোয়ালে থাকা তিনটি গরুর একটিও নেই, তখন তিনি দিশেহারা ও কান্নায় ভেঙে পড়েন তখন আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখে তার একটি গরুও গোয়ালে নাই তখন আমি আইনি সহায়তার জন্য ৯৯৯ ফোন করে আমার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে প্রশাসনকে অবগত করি। গরু তিনটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫০০০০/= টাকা, যার মধ্যে দুটি গাভী গরু এবং একটি বকনা বাছুর গরু। অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন আমি কোন সন্ধান না পায় তখন ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটিরত অফিসার কাজী মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান (এসআই) সদর থানা ঝিনাইদহ এর নিকট একটি চুরির ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগের কপি জমা দিয়,তখনই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মোঃ আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আইনগত ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য আমাদেরকে সান্ত্বনা দেয় । কিন্তু এখন পর্যন্ত চুরির ঘটনার কোন মোটিভেশনাল এবং গরু তিনটি উদ্ধারের ব্যাপারে তেমন কোন অগ্রগতি ভুক্তভোগীর কাছে পরিলক্ষিত হইনি, এজন্যই তিনি ঝিনাইদহ সদর থানার সুদক্ষ এবং বিচক্ষণ অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ সোহেল রানা, এবং ঝিনাইদহর মান্যবর পুলিশ সুপার যিনি অত্যন্ত সৎ এবং নিষ্ঠা দিয়ে ঝিনাইদহ জেলাকে একটি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত জেলা গোড়ার লক্ষ্য ও প্রত্যয় নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই মান্যবর পুলিশ সুপার জনাব আজিম উল আহসান স্যারের আশু হস্তক্ষেপ সহ সাইবার ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে ওই রাতের গরু চুরি হয়ে যাওয়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, এবং বিষয়খালী বাজারে রাতের ডিউটিরত সকল সদস্যদের সহযোগিতার মাধ্যমে আমার হারিয়ে যাওয়া শেষ সম্বল গরু তিনটি ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। আমার অভাব অনটনের সংসারে, একটি মেয়েকে কলেজে লেখাপড়া করাতে, এবং সংসারের দৈনন্দিন খরচ সেটা চালাতে হিমশিম খাচ্ছ। এখন আমার যে করুন পরিস্থিতির মাধ্যমে দিন কাটছে যা অশ্রুসিক্ত নয়নে আমার বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, তাই প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি আমার গরু তিনটি যাতে আমি ফেরত পাই সেজন্য সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ জনগণের বন্ধু, অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের পাশেই পুলিশ দাঁড়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আমি আজ মানবতার জীবনযাপন করছি, গোয়ালটি ফাঁকা পড়ে আছে দেখলে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আমি এই চোরদের সনাক্ত সহ আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে আমার মত কেউ শেষ সম্বল হারিয়ে পথের ভিখারি হতে না হয়। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে অন্যায় অপরাধ করে, চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি করে কেউ যেন পার না পাই।চোরদের সিন্ডিকেট যত শক্তিশালী হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিচার করলে এরকম আর চুরি, ছিনতাই ডাকাতির মত ঘৃন্যা জনক অপরাধ করে পার না পাই। শেখ হাসিনার বাংলায় চোর, ছিনতাই,ডাকাতিদের, ঠাঁই নাই।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: