শৈলকুপায় প্রতিবন্ধী নারীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে প্রভাবশালী মন্টু মন্ডল
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামে হালিামা খাতুন নামে এক প্রতিবন্ধী নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের ঝন্টু মন্ডলের বিরুদ্ধে। হালিমাকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার করেছে হালিমার ছেলে নাজিউর রহমান। মামলায় উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের সিরাজ মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন মন্ডল ও তার ভাই ঝন্টু মন্ডল, ঝন্টুর স্ত্রী স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও মেয়ে বৈশাখী খাতুনকে আসামী করা হয়েছে। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট পাটকাঠি নাড়াকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সাথে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয় হালিমার। এ ঘটনায় আসামীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঁঠের বাটাম নিয়ে হালিমার বাড়িতে বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে মারপিট করে। এতে হালিমার হাত ভেঙ্গে যায়। এসময় ভুক্তভোগীর পুত্রবধু এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়। তাদের কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার বাড়িতে আনলে হালিমার শরিরীক অবস্থা আবার খারাপ হয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসিলাম বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, মারধরের ঘটনা শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে আছেন। হালিমার স্বামী ইউনুচ আলী বলেন, আগেও তার স্ত্রীকে ঝন্টু মারধর করে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ঝন্টুর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারে না। অভিযুক্ত ঝন্টু মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেও কথা বলেননি।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টির তদন্ত করে সত্যতা মিলেছে। এঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ঝন্টু পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: