সিলেট মহিলা টিটিসির দুই খলিফার দুর্নীতিতে চাকুরি হারালেন অধ্যক্ষ
সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট মহিলা টিটিসিতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। দুর্নীতির দায় ভার এড়াতে না পারায় চাকুরি হারাতে হয়েছে মহিলা টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. খোর্শেদ হোসেন। ২১ মে ২৩ ইং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন স্বাক্ষরে এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মহিলা টিটিসির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. খোর্শেদ হোসেন এর বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলা গুরুত্বর অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা,২০১৮ এর ১২(১) বিধি মোতাবেক চাকুরি থেকে তাকে সাময়িক ভাবে বরখান্ত করা হয় বলে আদেশ জারী করা হয়। এ আদেশের পর ইতোমধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. খোর্শেদ হোসেন এবং নতুন অধ্যক্ষ যোগ দান করেছেন। সিলেট মহিলা টিটিসির কেয়ারটেকার কোটিপতি কবির হোসনে ও হিসেব রক্ষক ফারুক আহমদ নামের দুই খলিফার অদৃশ্য শক্তি ও ক্ষমতার দাপট, লুটপাটের দুর্নীতির বেড়া জালেবন্ধী সিলেট মহিলা টিটিসি। অধ্যক্ষ চাকুরি হারালেও সকল দুর্নীতিবাজরা থেকে গেছেন পর্দার অন্তরালে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তাদের চাকুরি এখন অবহাল তবিয়তে। আর চাকুরি হারালেন নিরপরাধ ব্যক্তি, এ প্রশ্ন এখন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোটিপতি কেয়ারটেকার কবির হোসেন সিলেটে মহিলা টিটিসিতে তিনি যোগদান করেছেন ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারীতে। কবির হোসেনের মূল দায়িত্ব ছিলো ইলেক্ট্রনিক্সের ওয়ার্কশপ এটেনডেন্ট। উক্ত প্রতিষ্ঠানে কেয়ারটেকারের পদ শুন্য থাকায় তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয় কেয়ারটে কারের। ভারপ্রাপ্ত কেয়ারটেকারের এ দায়িত্ব পাওয়ার পর জানা যায়, পেয়ে গেছেন আলা দিনের চেরাগ। অল্প দিনে হয়ে গেছেন কোটিপতি। সিলেট মহিলা টিটিসিতে টানা বছর ধরে করছেন ক্ষমতা ধাপটে চাকুরি করছেন। কবির হোসেনের চলা ফেরায় মনে হয় তিনি সিলেট মহিলা টিটিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ভূমিকা পালন করছেন। অপর দিকে আরেক খলিফা হিসেব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন ফারুক আহমদ, তার মুল দায়িত্ব ছিল অটোকেট ট্রেডের ওয়ার্কশপ এটেনডেন্ট। তিনি সিলেট মহিলা টিটিসিতে যোগ দান করেছেন ২০০৮ সালের জুলাই মাসের ০১ তারিখে। তিনি ওই টিটিসিতে টানা ১৬ বছর ধরে কর্মরত আছেন। সরকারি একটি শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে কি ভাবে এতো দিন ধরে কর্মরত আছে তারা এখন সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
দৈনিক আলোর প্রতিদিন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
পাঠকের মন্তব্য: