For Advertisement
রাঙ্গাবালীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে অনিয়ম৷

নিজেস্ব প্রতিনিধি রাঙ্গাবালী,পটুয়াখালী
রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে চলছে নানা অনিয়ম। পিআইও মোঃহুমায়ুন কবির রাঙ্গাবালী – কলাপাড়া দুই উপজেলার দাইত্বে থাকার করনে কাজের কোন খোজ রাখতে পারছেন না।তিনি পরে থাকেন কলাপাড়া।মাসে দুই থেকে তিন দিন অফিস করেন রাঙ্গাবালী উপজেলায়।তিনি তার অফিস পরিচালনা করছেন উপকূলীয় ঘূর্নীঝড় আশ্রয়ন প্রকল্পের রাঙ্গাবালী উপজেলারর কার্যসহকারী মোঃ সাহাদাত হোসেনকে দিয়ে। সুযোগ পেয়ে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন তার দূর্নীতি। ২০২১- ২২ অর্থ বছরের কোন কাজ তিনি সম্পূর্ণ করেনি।সড়েজমিনে ঘুরে জানা গেছে বরাদ্দের সিভিসি যারা তাদের সাথে মিলে শাহাদত টাকা নিয়ে সামান্য কাজ করেই শেষ করে দেন।এছাড়া ও জানা যায়, উপকূলীয় ঘূর্নীঝড় আশ্রয়ন প্রকল্পের বাংলাদেশর সকল কার্যসহকারীর ( ২২ নভেম্বর) অফিসিয়াল কার্যক্রম নিষেধ করে চিঠি দেয়া হয়।তার পরেও তিনি এখন পর্যন্ত অফিরের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উপজেলার পাশেই কালেক্টর স্কুল মাঠ ভরাট দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শাহাদত। আগের পিআইও তপন কুমার ঘোস আগুন মূখার আলো কিন্টার গার্ডেন স্কুল করতে গিয়ে মাঠ ভরাট করে রেখেছেন।বরাদ্দ নেয় এক লক্ষ আর বালু ফালায় বিশ হাজার। এ কাজের সিভিসি যারা তারা কিছুই জানে না।তারা শুধু সাক্ষর করেন।আর এর বিল তোলেন শাহাদাত। এভাবে এখানে ৭-৮ টি বরাদ্দ দেয়া হয়। যেখানে মাঠ ভরাট করতে দুই লক্ষ টাকার বেশি লাগার কথা না।এর সমস্ত টাকাই শাহাদত এর পকেটে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা পশু হসপিটলে মাঠ ভরাটে গত বছর সমান্য কাজ করেই শেষ।হাসপাতাল কর্মকর্তারা বলেন,কত টাকা বরাদ্দ আর কত টাকার মাঠ ভরাট করছে আমরা কিছুই জানিনা।পিআইও অফিস থেকে লোক এসে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে চলে গেছে।
কাজির হাওলা কমিউনিটি ক্লিনিক মাঠ ভরাট ১৬.৫০০ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।এখানে যা ভরাট করা হয়েছে তাতে ২০ হাজার টাকা ও হবে না।
দক্ষিন ভাঙ্গুনী গাজী বাড়ি মাঠ ভরাটের জন্য কবিটা কর্মসূচি ১ম বরাদ্দ থেকে দেয়া হয় ৮ লক্ষ টাকা।কিন্তুুু কাজ দেখলে মনে হয় তদারকি করার জন্য কোন অফিসই নাই।কাজ হয় নাই বল্লেই চলে।সামান্য একটু হয়েছে। এসব কাজ উপকূলীয় ঘূর্নীঝড় আশ্রয়ন প্রকল্পের রাঙ্গাবালী উপজেলারর কার্যসহকারী মোঃ সাহাদাত হোসেন অফিসের হয়ে পরিচালনা করেন।
এছাড়া ও কোন মাটির কাজের রাস্তা ঘাট কোনটাই সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় নাই।কোন রকম মাটির ছোয়া দিয়েই কাজ শেষ হয়ে গেছে।এভাবে তিনি আত্মসাৎ করেছেন সরকারি টাকা।
স্ব-স্ব এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার করার জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) এর আওতায় সরকারের ত্রাণ ও পূর্নবাসন মন্ত্রাণালয় বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ দিলেও শাহাদত অধিকাংশ মেম্বারদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ নিয়ে কয়েক বার অফিসে তথ্য অধিকার আইনের ফর্মে অবেদন করে ও তথ্য পাওয়া যায় নাই।
এবিষয় জানেতে চাইলে পিআইও হুমায়ুন কবির বলেন,আমি কাকে দিয়ে অফিস চালাবো এটা আমার ব্যাপার। আপনি আমাকে ফোন দিছেন কেন। আপনার রাইট নিয়া আপনি থাকেন।আপনি বেশি বোঝার চেষ্টা কইরেন না।আপনি অফিস টাইমে ফোন দিয়েন।এখন কি অফিস টাইম আমি আপনাকে কেন তথ্য দিবো।
For Advertisement
দৈনিক আলোর প্রতিদিন’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রাসেল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক : রাইতুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয় : ১৬১/১/এ উলন, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯
মোবাইল : 01715674001
বিজ্ঞাপন : 01727338602
ইমেইল : [email protected], [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: