ব্রেকিং ❯
প্রচ্ছদ / সারাদেশ / বিস্তারিত

For Advertisement

চাকুরী না পাওয়ায় মাঠ দখলে নিলেন অফিস সহায়ক

৩ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৯:১৭

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ- বাবা ছিলেন পিয়ন। মারা গেলেন বাবা। এর পরে কথা হয় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাথে। বাবার পদে চাকুরী দিবে তার ছেলেকে। মাদ্রাসাকে ১৬ শতক জমি দিয়েছিলেন চাকুরী প্রত্যাশী যুবকের বাবা। তবে রেজিস্ট্রি না মৌখিকভাবে। বাবা মারা যাওয়ার পর এভাবে ৯ বছর চাকুরী করলেন সেই জমি দাতার সন্তান নুর জামান। চলতি বছরে মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। এমপিওভূক্তের ঘোষণার পর বাদ দিলেন সেই জমি দাতার সন্তানকে আর নিলেন নতুন এক অফিস সহায়ক। এতে ঘটে বিপত্তি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না দেওয়ায় মাদ্রাসাকে দেওয়া ১৬ শতাংশ জমি নিজের দখলে নিয়েছেন নুরজামান নামে সেই অফিস সহায়ক। এমন ঘটনা ঘটে উপজেলার হোসেনগাঁও দাখিল মাদ্রাসায়।

জানা গেছে, ১৬ শতক জমি দেওয়ার বিনিময়ে হোসেনগাঁও এলাকার বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসায় পিয়ন পদে বিনা বেতনে চাকরি করতেন। ২০১৩ সালে মারা যাওয়ার পরে তাঁর ছেলেকে মৌখিকভাবে পদায়ন করেন মাদ্রাসার তৎকালীন সুপার আজিজুর রহমান।

নিয়োগ বঞ্চিত হয়েই নুরজামান মাদ্রাসার মূল মাঠের পাশ থেকে নিজের জমি স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপজোখ করে ১৬ শতাক জমি নির্ধারণ করে সীমানা পিলার বসিয়ে দিয়েছেন। ফলে কমে গেছে মাঠের জায়গা এবং এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী আর সেই মাঠে কোনভাবেই খেলাধুলা করতে পারছে না তারা।

এ প্রসঙ্গে নুরজামান বলেন,দীর্ঘদিন আমি ও আমার বাবা বিনা বেতনে চাকুরী করেছি। মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর সুখের সময়ে আমাকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কথা ছিল জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হবে। নিয়োগ চূড়ান্ত হলেই জমি দলিল করে দেওয়ার কথা ছিল। যেহেতু আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয় নাই, তাই জমি দখলে নিয়েছি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে,মাদ্রাসার সুপার নিজামউদ্দীন (সদ্য যোগদেওয়া) এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, ঘটনাটি স্পর্শকাতর। খেলার মাঠ না থাকলে তো সমস্যা। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

For Advertisement

দৈনিক আলোর প্রতিদিন’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: