ব্রেকিং ❯

For Advertisement

চট্টগামে লাখো মুসল্লির সমাবেশ, গিনেস বুকে রেকর্ডের আবেদন!

৯ অক্টোবর ২০২২, ৫:৪৬:৫০

চট্টগামে লাখো মুসল্লির সমাবেশ, গিনেস বুকে রেকর্ডের আবেদন!
নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত-ইয়া রাসুলুল্লাহ, এমন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজধানী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে নানা শোভাযাত্রার।

হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল আজ (৯ অক্টোবর)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এদিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তার সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন।

দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বড় শোভাযাত্রা বের হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এখানে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হলেও ভোর রাত থেকে মুসল্লিরা সমবেত হতে থাকেন। সকালে ষোলশহরের আলমগীর খানকা থেকে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে এই জুলুস বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান থেকে আগত আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ। বৃহৎ এই জশনে জুলুসকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ লোকের সমাগম ঘটেছে বলে জানান আয়োজকরা।

জুলুসটি আলমগীর খানকা থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ষোলশহরের জামেয়া ময়দানে এসে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ ও আল্লামা কাসেম শাহ। বাদজোহর মিলাদ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ।

এদিকে, রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে সকাল ১০টার দিকে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারির পক্ষ থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হয়ে শাহবাগ এলাকা ঘুরে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গিয়ে শেষ হয়। এই জুলুসে হাজার হাজার আশেকে রাসুল কালেমা তাইয়েবাখচিত পতাকা নিয়ে অংশ নেন। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঈদে মিলাদুন্নবী মাহ‌ফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল শেষে দেশ-জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।ৱ

এদিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালিত হচ্ছে। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এদিনেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

For Advertisement

দৈনিক আলোর প্রতিদিন’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: